চরম সাফল্য: অবশেষে চন্দ্রযানকে নিয়ে বিরাট সুখবর ঘোষণা করলো ISRO

কয়েক মাস আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করে ইতিহাস গড়েছিল ভারতের সংস্থা ইসরো। অসংখ্য অজানা তথ্য জানতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে ইসরোর এই চন্দ্রযান। কিন্তু নিজের কাজ সম্পন্ন করার পরে যখন চাদের মুখে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে অর্থাৎ চাঁদে দিনশেষে রাত হয়, পৃথিবীর ১৪ টা দিন চাঁদে একদিনের সমান। সেখানে ১৪ দিন পর যখন প্রথমবারের জন্য রাত্রি হয় তখন নেমে যায় তাপমাত্রা এবং চাঁদের বুকেই স্লিপ মোডে চলে যায় ইসরোর চন্দ্রযান -৩ এর ল্যান্ডার এবং রোভার। তারপর থেকে তারা সেখানে ঘুমন্ত অবস্থাতেই রয়েছে।

এই দুটি মেশিনকে একাধিকবার সক্রিয় করার চেষ্টা চালিয়েছে ইসরো। কিন্তু কোনও সাড়া দেয়নি। কিন্তু এখন এর থেকে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে।ISRO অর্থাৎ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান এস. সোমনাথ বৃহস্পতিবার জানান, ভারতের চাঁদ মিশনের রোভার ‘প্রজ্ঞান’ প্রত্যাশিত কাজ করেছে। বর্তমান স্লিপ মোড থেকে জেগে উঠতে ব্যর্থ হলেও, কিন্তু এটি আরও ভাল কাজ করবে।ইসরো প্রধান গুজরাতের সোমনাথ মন্দির দেখতে গিয়েছিলেন এবং এর পরে এখানে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় মহাকাশ সংস্থা এখন এক্সপোস্যাট বা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

```

‘প্রজ্ঞান’ বর্তমানে স্লিপ মোডে থাকা নিয়ে ইসরো প্রধান বলেন, যদি চাঁদে অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এর ইলেকট্রনিক সার্কিটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং তাপমাত্রা শূন্যের নিচে প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়, তবে এটি আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, ‘এটি সক্রিয় না হলেও ঠিক আছে, কারণ রোভারটি যে কাজটি করার কথা ছিল, তা করেছে।’ ফলে এখনও এই রোভার নিয়ে আশাবাদী ইসরো।ইসরো গত সপ্তাহে বলেছিল যে চাঁদে ‘চন্দ্রযান-৩’ সৌর শক্তি চালিত ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ এবং রোভার ‘প্রজ্ঞান’-এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টা করছে যাতে তারা বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে।

ISRO প্রধান সোমনাথ আসন্ন মিশন সম্পর্কে বলেছেন যে ISRO এখন এক্সপোস্যাট বা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। চাঁদে রাত নামার আগে ল্যান্ডার এবং রোভার উভয়ই যথাক্রমে ৪ এবং ২ সেপ্টেম্বর নিষ্ক্রিয় মোডে চলে যায়।তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কোনও তারিখ ঘোষণা করিনি, তবে এটি নভেম্বর বা ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।’ জানা যাচ্ছে, খুব সম্ভবত এটি, নভেম্বর বা ডিসেম্বরে এই লঞ্চ হবে।এর পরে আসবে নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার বা নিসারের পালা। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এটি চালু করা হবে।

```

সব মিলিয়ে মহাকাশ জগতে ভারতের ইসরো যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে খুব বেশি দিন আর দেরি নেই যে ইসরো পেরিয়ে চলে যাবে নাসাকে। সব মিলিয়ে চন্দ্রযানের তৃতীয় অভিযান ভারতের জন্য একটা চরম সফলতা নিয়ে এসেছে।